জন্মিলে মরিতে হবে যেমন চিরন্তন সত্য ঠিক তেমনি সৃষ্টি আছে যার শেষ আছে তার। আমি আমরা এর ব্যতিক্রম নই। জীবন অতি সংক্ষিপ্ত ইংরেজিতে তাই বলে
Life is very short শুধুমাত্র উপলব্ধি দরকার।
আমরা মানুষ মহান আল্লাহ্ বা স্রষ্ট্রার শ্রেষ্ট জীব সমস্ত সৃষ্টি বা জীব কুলের। আর সেই আমরা মানুষের জীবন বড়ই বিচিত্র। আর সেটা যখন নানান ঘটনার মধ্য দিয়ে বাস্তব জীববে প্রতিফলিত হয় তখন সেটা প্রতিবেদনে রুপান্তরিত হয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়। আমি তাই স্বচক্ষে দেখা জীবনের ছোট ছোট গল্প নিয়ে হাজির হচ্ছি।
ভনিতা নয়- ভাবি একবার- আমরা মানুষ আসলেই কত বিচিত্র। হাসি – কান্না, সুখ – দুঃখ, প্রেম – বিরহ, ভালোবাসা – ঘৃনা, আদর – অবহেলা, সমাদর – তুচ্ছ ; তাচ্ছিল, শান্তি – অশান্তি, অভাব – অনাটন, বিলাসিতা, অহংকার, দেমাগ, গর্ব এমন অসংখ্য উপকরণের মধ্যে আমাদের জীবন সৃষ্টির শুরু থেকে বহমান। এই বিচিত্র জীবন প্রবাহ পৃথিবী যতদিন থকবে, ততদিন অব্যাহত থাকবে।
বিচিত্র কিন্তু বাস্তবতা এখানেই সচিত্র আকারে দৃশ্যমান। দ্বন্দ্ব, কলহ, সংঘাত করে কাছের বা দূরের সম্পর্ককে আরও তিক্ত করে তুলি আমরা। স্বার্থের কাছে যেন সবাই আমরা পরাজিত এবং প্রতি মূহুর্তে এক একটা সচিত্র প্রতিবেদন আমাদের চোখের সামনে হাজির হয়। যদি আমরা মন্দ জিনিস গুলোকে এড়িয়ে চলতে পারি তাহলে সংক্ষিপ্ত জীবনে উপলব্ধিটা অনুধাবন করা কত সহজ হবে।
আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব “আশরাফুল মাখলুকাত” উপাদি বজায় রাখতে সক্ষম হব এবং মহান আল্লাহ বা স্রষ্টা অত্যন্ত খুশি হবেন। মহান আল্লাহ্’রও সৃষ্টি স্বার্থক হবে বলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি।
আজকের আলোচনার বিষয় বস্তুতে মূল প্রতিপাদ্য আধুনিক ও প্রযুক্তির ব্যপক উন্নয়ন ও ব্যবহারের ফলে পৃথিবীর গতিবিধি দ্রুত বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবন যাত্রা সমগ্র পৃথিবী জুড়ে এবং মূহুর্তেই তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব হয় বলে বিচিত্র জীবনে আরও বেশি বৈচিত্র পরিলক্ষিত হয়। মূল বা শিকড়কে বাদ দিয়ে কোনো কিছুই সমনে অগ্রসর হতে পারে না।
তেমনি মানুষ সব কিছুর ধারক-বাহক হয়ে এর ব্যতিক্রম হতে পারছে না। আস্থার অবস্থানটা কেমন যেন মানুষ মানুষে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করছে। মহান আল্লাহ বা স্রষ্টার উপর পূর্ন আস্থা আমাদের সবকিছুর উর্ধ্বে বিশ্বাসের মর্যাদা রাখা উচিৎ। ভালো মানুষের কাজ সর্বদা ভালো হয়। আর সেই ভালোর কোনো শেষ থাকেনা। ইতিহাস এর সাক্ষ্য বহন করে অন্যদিকে মন্দ কাজের পরিধি যাহাই হোক না কেন মানুষ প্রকৃত পক্ষে সেখানেই শেষ দেখতে চায়।
সব কিছুর মূলেই হলো নৈতিক শিক্ষা দীক্ষা, ব্যবহার তাহলে কি মানুষের বিচিত্র জীবনের সচিত্র প্রতিবেদন আরও সুখকর, বর্নাঢ্য, স্বয়ংসম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ হবে বলে আমরা মনে করতে পারি।